টনসিল ও গলা ব্যাথা হলে করণীয় কি - টনসিল ও গলা ব্যাথা হলে কি খেতে হবে

টনসিল ও গলা ব্যাথা দুটোই এক টনসিলের উপসর্গ হলো গলা ব্যথা। আমাদের সাধারণত ঠান্ডা লেগে থাকলে টনসিল হয়ে থাকে। তবে গলা ব্যথা হয়ে থাকে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি। ওষুধ খেয়ে থাকি বা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। তবে টনসিল ভাইরাস ও ঠান্ডা লাগার কারণে হয়ে থাকে।

টনসিল সাধারণত.৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের হয়ে থাকে। তবে সব বয়সী মানুষদের ঠান্ডা লাগালে ভাইরাস জনিত আক্রমণ হলে টনসিল হয়ে থাকে। তবে আমরা এখন গলা ব্যথা হলে ঘরোয়া উপায় কিভাবে সমাধান পাওয়া যায় তা জেনে নিব আর্টিকেল থেকে। চলুন তাহলে আমরা দেরি না করে এই আইডিটি পড়ে নিই।


পোস্ট সূচিপত্রঃ টনসিল ও গলা ব্যাথা হলে করণীয় কি - টনসিল ও গলা ব্যাথা হলে কি খেতে হবে

  • টনসিল কি ডান্স হল
  • ঘরোয়া উপায় এ টনসিলের সমাধান
  • টনসিল এর উপসর্গ গুলো কি কি
  • টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
  • টনসিল সমাধানের ঔষধ গুলো কি কি
  • সাধারণ গলা ব্যথার সমস্যা কিভাবে দূর করব

টনসিল কি

টনসিল হলো দুটি ভরের টিস্যু যা গলার পেছনে অবস্থিত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ। তারা মুখ ও নাক দিয়ে প্রবেশকারী ব্যাকটেরিয়ার ও ভাইরাস গুলোকে ফিল্টার করতে সাহায্য করে। টনসিল হলো পৌষ্টিকনালীর মুখোমুখি অবস্থিত লিম্ফলেট অঙ্গগুলির একটি সেট। যা ওয়ালডায়ারের টনসিলার রিং নামে পরিচিত। টনসিল শব্দটি দ্বারা সাধারণত প্যালাটাইন টনসিল কে বুঝাই। এই টনসিল মানুষের গলার উপর পাশে অবস্থিত লিম্ফলেট অঙ্গ। চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে নিব হলে ঘরোয়া উপায় কিভাবে সমাধান পাওয়া যায়।

ঘরোয়া উপায় এ টনসিলের সমাধান

আমাদের শরীরের ভিতরে নাক মুখ গলা দিয়ে প্রবেশ করা জীবাণুকে বাধা দেওয়া টনসিলের কাজ। কিন্তু বাধা দিতে গিয়ে অনেক সময় টনসিল নিজে আক্রান্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে মানুষ। তবে এই সমাধানের জন্য ডক্টরের পরামর্শ এবং ওষুধ খেয়ে থাকি কিন্তু সমস্যা কখনো ছেড়ে যায় না লেগেই থাকে। তাই আমরা এখন ঘরোয়া সম্পর্কে জানবো। গলাতে টনসিল হলে ঢোক গিলতে ও সমস্যা হয়। তখন পাতি লেবুর প্রয়োজন পড়ে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস এক চামচ মধু এবং কিছুটা লবণ মিশিয়ে পান করুন। 


টনসিলের ব্যথা হলে রাতে একবার দিনে একবার পান করুন। এক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা লবণ দিয়ে তা থেকে ভাপ নিয়ে গলায় দিলেন গলা ব্যথা কিছুটা দূর হবে। আধা চামচ গ্রিন টি ও এক চামচ মধু দিয়ে মি. ১০ ফুটিয়ে নিন। দিনে দুই-তিনবার চা পান করুন গ্রিন টিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। একটা কারণ দুধের সঙ্গে একটু হলুদ মিশিয়ে খেতে পারি। হলুদের গুনাগুন অনেক টনসিল কমাতে সাহায্য করে ও সর্দি কাশি হতে দূর করে। এগুলো হলো টনসিল ও গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় টনসিল হলে এগুলো নিয়ম মেনে খেতে হবে। অবশ্যই এতে টনসিল সারানো উপকার পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুনঃZovia Gold সম্পরকে 

টনসিল এর উপসর্গ গুলো কি কি

এতক্ষন আমরা টনসিল এর এর ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা জানব আমাদের গলায় টনসিল হলে কিভাবে বুঝব টনসিলের উপসর্গ গুলো জেনে নিব

খাবার খেতে বা  ধোক গিলতে সমস্যা হয়

বারবার গলা ব্যথা হয়

বমি হওয়া

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া

অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করা

অধিক আকারে গলা ব্যথা বেড়ে যাওয়া

গলার টনসিল ফুলে লালচে হওয়া

৬ মাসের নিচে শিশুদের জ্বর ১০১ ফারেনহাইট আর বড়দের ১০৩ ফারেনহাইট পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া।

অনেক সময় গলায় বা টনসিল এ পুজ ধরতে পারে। গলায় এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে গলায় টনসিল হয়েছে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

এতক্ষণ আমরা টনসিল এর সমাধান উপসর্গ জানলাম এখন জানবো টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না। চলুন তাহলে আজকে আমরা জেনে নিই, টনসিল সমস্যা থেকে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যার ফলে টনসিল অনেকাংশে কমে যাবে। এখন আমরা জেনে নেব সে খাবার গুলো কি কিঃ

চিপস , চানাচুর , ফুসকা ,চটপটি , কোমল পানীয় জাতীয় জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না

অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না

টক জাতীয় খাবার গলা ব্যথা বাড়াতে সহায়ক করে, টনসিল এর   ব্যাথা কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন খাবার খেতে হবে

ফুলকপি বাঁধাকপি এই জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না

বাদাম ,চিনা বাদাম মিষ্টি আলু না খাওয়াই ভালো।

চিনি রান্না করা গাজর , পাকা কলা , গাজর ,শুকনো ফল খাওয়া যাবে না।

দুধ ও দুগ্ধজাত দব্য খাওয়া যাবে না

আতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার খওয়া যাবে না

যে সকল খাবার এ হজম এর শক্তি কম সে সকল খাবার খওয়া যাবে না।উপরের এর সকল খাবার খেলে টনসিল খুব দেরি তে ভালো হবে।তাই আমাদের সাবধানতা মেনে চলতে হবে।

আরো পড়ুনঃভিটামিন E কমপ্লেক্স

টনসিল সমাধানের ঔষধ গুলো কি কি

টনসিল ও গলা ব্যাথা হলে নিচের উল্লেখিত ঔষধগুলো খাবেন। ঔষধগুলো্র নাম হচ্ছে Lebac 500mg/Cephradine 500mg. ট্যাবলেট টানা ৭ দিন ,দিন ও রাতে খেতে হবে।যদি গলা ব্যাথা থাকে তাহলে Reservix 100 mg সকাল এ এবং রাতে খেতে হবে। এ ছারাও আপনি E Fix 100mg খেতে পারেন এটি টনসিল ও গলা ব্যাথার ট্যাবলেট।এটি এন্টিব্যকটিরিয়া হেসাবে কাজ করেওগলায় থাকা জিবানু ও ব্যকটেরিয়া দূর করে।এ ছাড়াও ডাক্তার এর পরামরশ নিবেন।

সাধারণ গলা ব্যথার সমস্যা কিভাবে দূর করব

সাধারন গলা ব্যাথা অনেকের হয়ে থাকে। এই টা নিয়ে ওনেকে চিন্তা করেন।কি ভাবে এই সমাধান পাওয়া যায়।চলুন তাহলে আজকে আমরা জেনে নাই,গলা ব্যাথা সাধারনত ঠান্ডা লাগার কারন এ হয়ে থাকে।তাই আমাদের প্রথম এ ঠান্ডা লাগানো থেকে সাবধান থাকতে হবে।গলা ব্যাথা হলে আদা ও মধু চা খেতে হবে সকালও রাতে। মধু খেলে অনেক গরম আসে শরিরে  ও গলায়তাই মধু চা খেতে হবে। গলাতে নরম কাপর বেধে রাকতে হবে।জেন ঠান্ডা না লাগে।সকাল বিকেল এ হালকা গরম পানি ও লবন এক সাথে মিশিয়ে মুখে নিয়ে কুলি করতে হবে ৫থাকে৬ বার। যষ্টিমধু খেতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে। যষ্টিমধু গলার তালুতে থাকা জিবানু দূর করে।ও তালুতে যেই খুস্খুস হয়ে থাকে তা দূর করে।


এ ছারাও নারিকেল তেল গলার জন্য অনেক মস্রিন।নারিকেল তেল মুখে নিয়ে ২০ থেকে২৫ মিনিট কুলি করতে হবে।নারিকেল তেল মুখে থাকা বিষাক্ত পদাথ দূর করে।সব সময় হাল্কা গরম পানি খাতে হবে।হাল্কা গরম খাবার খেতে হবে।নরম সুতি কাপর আগুন এ সেক দিয়ে গলাই সেক দিতে হবে।এই করনিও গুলো মেনে চল্লে অবশ্যই গলা ব্যাথার উপকার পাও জাবে।এই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান না হলে আমাদের কে ডাক্তার এর পরামরশ নিতে হবে।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url