হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি - এবং বেগুন চাষে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়
থাকেনআমরা সবাই বেগুন এর সাথে পরিচিত। গ্রাম অঞ্চলে এটি প্রায় অনেকেই চাষ করে থাকেন। বেগুন একটি অর্থকারী ফসল। বর্তমানে অধিক ফলনশীল হওয়ার কারণে সব জায়গা থেকে এখন হাইব্রিড যাতে বেগুন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই হাইব্রিড চাষ করে কি চাষিরা লাভজনক। চলুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে বেগুন চাষে লাভজনক সম্পর্কে জেনে নিব
এছাড়াও হাইব্রিড বেগুন চাষ সম্পর্কে জেনে নিব কিভাবে চাষ করলে খুব সহজে বেগুনের ফসল পাওয়া যাবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে বেগুন চাষ করবো তার সম্পর্কে জেনে নিব। আমরা অনেকেই বেগুন চাষ করে লাভবান হতে পারিনা। তাই কিভাবে চাষ করলে সফল হওয়া যায় তার সম্পর্কে জেনে নিব। চলুন তাহলে দেরি না করে হাইব্রিড বেগুন চাষ সম্পর্কে জেনে নেই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হাইব্রিড চাষ পদ্ধতি-এবং এবং বেগুন চাষে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়
- হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি
- বেগুন চাষে সার
- বেগুন চাষের পরিচর্যা
- বেগুনে এর বিভিন্ন জাত
- বেগুন চাষ এ বাণিজ্যিক ভাবে সফলতা
- বেগুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি
বেগুন হলো উষ্ণ জলবায়ু ফসল। বেগুন শীতকালে চাষ এর জন্য উপযোগী। গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেগুন ভালো ফলন দেয় না। চলুন এখন আমরা কিভাবে বেগুন চাষ করতে হয় তা জেনে নেই.। প্রথমে বেগুন চাষ করার আগে অবশ্যই বাজার থেকে হাইব্রিড জাতের বীজ কিনতে হবে। এরপর বীজ থেকে বেগুনের চারা রোপন করতে হবে। দোআশ বা এটেল মাটি দিয়ে কয়েকটা বেড তৈরি করে নিতে হবে।তারপর সে মাটিগুলো আলগা করে নিতে হবে আলগা করে নেওয়া হয়ে গেলে তাতে বিজ ছিটিয়ে দিতে হবে.৫ থেকে১০ দিনের মধ্যে চারা রোপণ হবে।
এবার জমি আলগা করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। জমির কাটা প্রতি সরিষার খৈল ২কেজি ,ফসফেট ১ কেজি , সুফলা ১ কেজি , অনু খাদ্য ১ কেজি জমিতে দিতে হবে। তারপর জমি আলগা করতে হবে। এমন ভাবে আলগা করতে হবে যেন আমার সমান ভাবে জমিতে সবগুলো মিশে যায়। এবং লাইন তৈরি করতে হবে ।সবগুলো মিশে গেলে এবং লাইন তৈরি হলে এক সপ্তাহ পর জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে হবে তবে চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে আড়াই ফুট এবং লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব হবে তিন ফুট।
তবে লাইনের মাঝে পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরি করে দিতে হবে। এরপর চারাগুলো লাইনে আড়াই ফুট দূরত্ব করে লাগিয়ে দিতে হবে। চারা লাগানো হয়ে গেলে কিছুদিন পর পর পানি সেচ দিতে হবে। এবং পোকামাকড়ও কৃৎ পতঙ্গ হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই সার পয়জন দিতে হবে কিছুদিন পর পর.।৩০ থেকে ৪০ দিন পর গাছে ফুল দেখা দিবে এবং ফুল আসার ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যাবে। হাইব্রিড বেগুন জাত যেমন হাইব্রিড ভি এন আর ২১২ টানা তিন মাস থেকে চার মাস ফলন দিয়ে থাকে।
বেগুন চাষে সার
এতক্ষন আমরা বেগুন চাষ সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা বেগুন চাষ এ কি পরিমাণ এবং কিভাবে কি কি সার প্রয়োগ করলে বেগুন ফলন ভাল পাওয়া যাবে তার সম্পর্কে জানব বা বেগুন চাষ করতে কি সার বা পয়জন প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানব।
বেগুন চাষে শেষ সময় জমিতে গোবর সার প্রয়োজন ৪০ থেকে ৫০ কেজি
টিএসপি প্রয়োজন হবে শতক প্রতি ৭০০ গ্রাম
ইউরিয়া প্রয়োজন হবে শতক প্রতি ১০০০ গ্রাম
এম ও পি প্রয়োজন হবে শতক প্রতি ৭০০ গ্রাম
জিপসাম প্রয়োজন হবে শত প্রতি ৪০০ গ্রাম
দস্তা প্রয়োজন হবে শতক প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম
বেগুন চাষের পরিচর্যা
বেগুনে এর বিভিন্ন জাত
এতক্ষণ বেগুন চাষ পরিচর্যা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা জানবো হাইব্রিড বেগুন এর জাত গুলোর নাম কি কি। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেইঃ
বারি বিটি বেগুন ১
বারি বিটি বেগুন ২
বারি বিটি বেগুন ৩
বারি বিটি বেগুন ৪
বারি বেগুন ১
বারি বেগুন ২
বারি বেগুন ৩
বারি বেগুন ৪
বারি বেগুন ৫
বারি বেগুন ৬
বারি বেগুন ৭
বারি বেগুন ৮
বারি বেগুন ৯
বারি বেগুন ১০
এছাড়াও রয়েছে তাল বেগুন , সাদা বেগুন , মুক্তকেশী বেগুন।
বারি হাইব্রিড বেগুন-৩
বারি হাইব্রিড বেগুন-৪
উন্নত মানের হাইব্রিড জাত গুলো হোকঃ প্রীতম, লুনা , ললিতা।
বেগুন চাষ এ বাণিজ্যিক ভাবে সফলতা
অনেকেই বেগুন চাষ করে থাকেন। তবে এখন বাংলাদেশে সকল জায়গাতে হাইব্রিড বেগুন চাষ করে চাষিরা লাভজনক করছেন। সকল দেশে হাইব্রিড বেগুনের চাহিদা অনেক তাই সকল চাষিরা এখন হাইব্রিড বেগুন চাষ করছেন। তবে হাইব্রিড বেগুনের ভালো ভালো তিনটি জাত রয়েছে, এর মধ্যে লুনা জাত ভালো ফলন দেয়। এটি ঝামেলা কম এবং খরচ কমে এই বেগুন চাষ করা যায়। লুনা জাত টি প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস বেগুন দিয়ে থাকেন। এতে কৃষকেরা অনেক লাভবান হন। লুনাজাত বেগুনের চাহিদা বাণিজ্যিকভাবে বেড়েই চলছে।
খুব কম খরচে অল্প জায়গাতে বেগুন চাষ করা যায়। তাই অনেকই সামান্য জাইগাতে কম খরচে বেগুন চাষ করে থাকেন। সকল দেশে বেগুনের চাহিদা থাকার কারণে বাণিজ্যিকভাবে অনেক লাভজনক হয়ে আসছে। সাধারণ বারি জাত গুলো থেকে হাইব্রিড গুলো চাহিদা সবার অনেক। বেগুন চাষে ভালোভাবে যত্ন নিলে হাইব্রিড বেগুন এর ফলন অনেক। হাইব্রিড বেগুনের চাহিদা অনেক থাকার কারণে কৃষকেরা হাইব্রিড বেগুন চাষ করছেন এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছে সফল হতে পাচ্ছেন।
বেগুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন আমরা হাইব্রিড বেগুন এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানব। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের বেগুন হয়ে থাকে যেমন বারি ১\২ এবং বারি ৩\৪ ইত্যাদি। এছাড়াও লাল সাদা কালো সবুজ বেগুন হয়ে থাকে। বেগুন অনেক পুষ্টিকর খাবার যাতে থাকে ভিটামিন ফাইবার খনিজ ক্যালরি। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে কপার পটাশিয়াম কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন। বেগুন রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ থেকে দূরে রাখে।
রোগের কমাতে বেগুন সাহায্য করে। বেগুন খেলেও যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর অপকারিতা রয়েছে চলুন এখন আর অপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেই বেগুন স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তা মনে করছেন পরিবেশবাদী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ বেগুন উৎপাদন ও বেগুন খেলে হতে পারে রোগ ব্যাধি ও ক্যান্সার প্রাণঘাতী অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেগুনে। তাই অবশ্য জেনে পরামর্শ নিয়ে বেগুন খেতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url