গরুর দুধ দহন এর আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমাদের দেশে কৃষি উন্নয়নের ধারা দিন দিন বাড়িয়ে চলছে। অসংখ্য তরুণ তরুণীদের বেকারত্ব দূর করছে এ কৃষি উন্নয়ন। অনেকে খামার করে লাভজনক হয়ে উঠতেছে। এছাড়া অনেক বিভিন্ন ধরনের ফার্ম গঠন করছে। কিন্তু সবচেয়ে লাভজনক ফার্ম গরু পালনের ফার্ম। একটি ফার্মে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন জাতের গরু থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ খামারে গরু মোটাতাজ করন ও বাছুর লালন পালন করে থাকেন। এসব এর মধ্যে গরুর দুধ উৎপাদনের খামার সবচেয়ে বেশি। অনেকেই আধুনিক প্রাচীন কালের দুধ দোহনের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে আসছি। 

কিন্তু খামারিদের লাভজনক কম ব্যয়বহুল সময় এমন একটি মেশিন আবিষ্কার করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। এই মেশিনটি খামারীদের জন্য অনেক লাভজনক। এটি খুব সহজ ও তাড়াতাড়ি গাভীর দুধ দোহন করতে পারে। সময় কম লাগে। এবং জীবাণু ও ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই মেশিনটি খামারীদের অনেক সুবিধা করে তুলছেন। দুধ দহন মেশিন ব্যবহার করে অতি সহজে ও খুব তাড়াতাড়ি উত্তর দমন করতে পারে। সত্যিই এটি ব্যবহার করে খামারীতে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে।

আমাদের দেশের প্রাচীনকাল থেকে হাত দিয়ে দুধ দহন করা হয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা খামারীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক দ্বারা চালিত মেশিন তৈরি করেছেন। এছাড়াও বৈদ্যুতিক ছাড়াও দু ধরনের মেশিন চালু করেছেন। এখন আমরা বৈদ্যুতিক সাহায্য ছাড়া দুধ দহন মেশিন সম্পর্কে জানবো। এটি অনেক সহজ সরল পদ্ধতি। এই মেশিন টি এক ধরনের পাম্প সিস্টেম মেশিন। এই মেশিনে চার টি টিউব রয়েছে টিউবের মধ্যে পাম সিস্টেম করা রয়েছে। এই টিউব চারটির মধ্যে গরুর বাট বা দুধ প্রবেশ করাতে হবে। তারপর খুব সহজেই পাইপ এর মধ্যে দিয়ে বালতিতে বা দুধ রাখার পাত্রে জমা হবে। এই যন্ত্রের সাথেই পাইপ ও দুধ রাখার পাত্র এডজাস্ট করা আছে। একটা পাত্রে ২০ লিটার পর্যন্ত দুধ রাখা যায়। ২০ লিটার দুধ দোহন করতে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে। এখন খামারিরা এর পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজে লাভজনানো হচ্ছে।

আমরা এই পর্যন্ত এই মেশিনটি সম্পর্কে ও ব্যবহার জেনেছি এখন আমরা এর সুবিধা সম্পর্কে জানব। এই মেশিনটি ব্যবহারে কি কি সুবিধা রয়েছে। প্রাচীনকালে বা অনেকেই এখনো হাত দিয়ে দুধ দহন করে থাকেন এতে অনেক কষ্ট বা সময় লাগে কিন্তু এই মেশিনটি ব্যবহার করলে হাত দিয়ে প্রয়োজন হবে না এই মেশিনটি সুবিধা হচ্ছে এই মেশিনটি খুব তাড়াতাড়ি দহন করতে পারে। আরেকটি সুবিধা হচ্ছে মেশিন দ্বারা দুধ দোহন করলে মাছি, মশা বা বিভিন্ন ধরনের জীবাণু পড়তে পারে না। 

এই মেশিনটি ধারাএই মেশিনটির পাইপের মধ্যে দিয়ে দুধ পাত্রের মধ্যে জমা হয়। এটি আরেকটি সুবিধা হল দুধ ভর্তি হয়ে গেলে ঘন ঘন পাত্র চেঞ্জ করা লাগে না। 

একটা পাত্রে ২০ লিটার দুধ ভর্তি হওয়ার পর চেঞ্জ করতে হবে। এছাড়াও এই মেশিনটি ৮ থেকে১০ মিনিট সময় লাগে একটি গরুর দুধ দহন করতে। তাই এটি খামারিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বা সহজ লভ্য একটি মেশিন। এই মেশিনটি যদিও বৈদ্যুতিক সংস্পর্শ ছাড়া ব্যবহার করা যায় তাই এটি যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারব বা প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারব। যখন হাত দিয়ে দুধ দোহন করা হয় গরু তখন অনেক সমস্যা বোধ করে বা নড়াচড়া করে। বা পা ছড়াছড়ি করে কিন্তু এই মেশিনটি শুধু গরুর দুধের মধ্যে প্রবেশ করালে। গরু অনেক শান্ত থাকে কোন নড়াচড়া বা সমস্যা করে না।

এই মেশিনটি দুধ দোহনের বা গরু কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। যদিও খুব একটা সমস্যা হয়ে থাকে বাছুরে। মেশিন দ্বারা গাভীর দুধ দহন করলে মেশিন গাভীর ওলান থেকে সম্পূর্ণ দুধ চুষে নেয়। তবে এই মেশিন টি ব্যবহার করার পর অবশ্যই মেশিনটি পরিষ্কার করে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই যন্ত্রটি একবার দুধ দোহনের পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে পরের দিন না পরবর্তীতে ব্যবহার করতে হবে। তবে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করার আগে বা ক্রয় করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।

দুধ দোহন মেশিনটি বাংলাদেশর সকল খামারিদের কাছে পরিচিত না অনেকেই এখনো হাত ব্যবহার করে দুধ দোহন করেন। তবে অন্যান্য দেশে এটি ব্যবহার করে অনেক লাভজনক হচ্ছেন। তবে বাংলাদেশে অনেকেই বা কিছু কিছু মানুষ আছে এই মেশিন টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন বা ব্যবহার করছেন। তারা অবশ্যই এই মেশিনটি তার অনেক সুবিধা পাচ্ছেন বা খুব সহজেই দুধ ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করতে পাচ্ছেন। তবে সত্যি ই এই মেশিনটি ব্যবহার করে অনেকেই লাভজনক করছেন বা অসুবিধা মনে করছেন।